সম্পাদকীয়

মধ্যেপ্রাচ্যে যুদ্ধের দামামা বেজে উঠছে। চিরবৈরী ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যকার বিরোধ এখন চরম পর্যায়ে। সৌদি আরবের তেল শোধনাগারে ইয়ামেনের হুতি বিদ্রোহীদের ড্রোন হামলার পর থেকেই অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে দুদেশের সামরিক পরিস্থিতি। সৌদি আরব এ-হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করলেও ইরান বারবার এ-দাবি অস্বীকার করে আসছে। এ-দিকে যুক্তরাষ্ট্র এ হামলার দায়ভার চাপিয়ে তার পুরনো মিত্রদের নিয়ে ইরান আক্রমনের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। এদিকে ইরানও মাতৃভূমির উপর যে কোন আগ্রাসন মোকাবেলায় পূর্ণ প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইরানের ঘনিষ্টমিত্র রাশিয়া ও চীন পূর্ণ সমর্থন দিয়ে আসছে। যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের শ্রেষ্ঠ পরাশক্তি হলেও ইরান আক্রমনে তাকে ভাবতে হচ্ছে। কারণ ইরানের সামরিক বাহিনী যথেষ্ট সুশৃঙ্খল, শক্তিশালী ও দেশপ্রেমে উজ্জীবিত এবং ইতিপূর্বে ইরাকের সাথে দীর্ঘ দশবছর যুদ্ধের অভিজ্ঞতা রয়েছে। লেবাননের ক্ষমতার অংশীদার হিযবুল্লাহ মিলিশিয়া ও ইরাকের বর্তমান শিয়া সরকার ইরানের সমর্থনপুষ্ঠ। হিযবুল্লাহও এখন সামরিকভাবে অনেক শক্তিশালী। ফলে যুক্তরাষ্ট্র যদি ইরানে আগ্রাসন চালায় তাহলে পুরো মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়বে। ইতোমধ্যেই তেলের দাম উর্ধ্বমুখী হচ্ছে। সৌদিআরব ও ইরান দুটি মুসলিম দেশ। মুসলিম দেশের পারস্পরিক যুদ্ধ দেখতে চায় না মুসলিম জাহান। মহান আল্লাহ যেন তার কুদরতি সাহায্যে এ-যুদ্ধময় পরিস্থিতি শান্ত এবং মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির সুবাতাস জারি করে দেন।

Comments

comments

About

Check Also

রাসুলুল্লার হিজরাত : প্রাসঙ্গিক ভাবনা

পৃথিবীতে তখন ঘোর অমানিশার রাজ। চারিদিকে বিশৃঙ্খলা, নৈরাজ্যের দৃঢ় ভিত্তি স্থাপিত হয়েছে। যে ভিন্নতার জন্য …